কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে ছাড়েন বলছি।
আমার মুখ টা বেধে ফেলে আমাকে নিয়ে আসছে একটা কাজী অফিসের সামনে।
আমি একটা বেঞ্চের উপর বসে ভাবছি কথা গুলা। এমন সময় টেবিলে থাপ্পড় মারলো একটা ছেলে। যারা আমাকে তুলে এনেছে তারা চারপাশে দাড়িয়ে আছে।
আর আমার সামনে যে ছেলে টা আছে দেখতে পুরা হিরো দের মত।
লম্বা ৬ ফিট সিক্স প্যাক বডি একটা কালো সুট পরা একটা কালো সানগ্লাস চুল গুলা স্টাইল করা পুরো ক্রাশ।
আমি তো ক্রাশ খেয়ে ফেলছি।
মিতু কি ভাবছিস এইগুলা আমাকে কেন তুলে আনছে এই ছেলে সেটা জানতে হবে।
হঠাৎ তুরি বাজানোর শব্দে বাস্তব এ আসলাম।
কি হলো হ্যা করে তাকিয়ে আছো কেন হুম
কি ভাবছো এত (ছেলে টি)
আপনি আমাকে এইখানে কেন তুলে আনছেন (আমি)
বিয়ে করার জন্য(ছেলে)
কিইইইইইইইইইইইইই
ফাজলামি পাইছেন আপনি বিয়ে করবেন আমাকে তুলে আনছেন কেন বিয়ে করেন
আর আপনি কে বলুন তো?
আমি মাহিন।
মাহিন চৌধুরী বাকি টা বিয়ের পর জেনে নিও এই নাও (গম্ভীর গলায় একটা কাগজ এগিয়ে দিয়ে)
এটা কিসের কাগজ আমি কি করবো??
সাইন করো এটা আমাদের বিয়ের কাবিনের কাগজ
কিইইইই
এইবার মাথা গরম হয়ে গেলো তাই কাগজ টা টান দিয়া ছেরে ফেললাম আর রাগে বললাম ফাইজলামি পাইছেন হ্যা আমি আপনাকে কেন বিয়ে করবো।
না আমি আপনাকে চিনি
না জানি কেন আমি আপনাকে হঠাৎ বিয়ে করবো
কেন আমাকে তুলে আনছেন আপনি??
দেখো ভালো ভালো বলছি সাইন করেন না হলে তোমার আব্বুর অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে
বলেই হাতে একটা ফোন নিয়ে আমাকে একটা ভিডিও দেখালো যেটাতে আব্বুকে দেখা যাচ্ছে
আব্বু অফিস থেকে বের হচ্ছে আর তার পিছনে একটা লোক যার হাতে রিভারবার।
আমি ভয় পেয়ে গেলাম কারন আব্বু ছাড়া আমার আপন বলতে কেউ নাই।
আম্মু মারা গেছে আরও ৪ বছর আগে
তাই বললাম
প্লিজ আমার আব্বুর কিছু করবেন না আপনি বলেন কোথায় সাইন করতে হবে (কান্না করতে করতে)
ওকে লাইকে গুড গার্ল (মাহিন)
তারপর আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে
আমি কান্না করছি চেনা নাই জানা নাই একটা ছেলেকে বিয়ে করে নিলাম। কি হচ্ছে আমার সাথে এইগুলা।
আম্মু তুমি কেন আমাকে ছেড়ে চলে গেলা।
এত দিন ঐ ডাইনি রাক্ষসী মহিলার জন্য শান্তিতে বাসায় থাকতে পারতাম না আজ যখন বাসা থেকে চলে আসলাম তখন এই ছেলে আমাকে তুলে নিয়ে এসে বিয়ে করলো।
কি হচ্ছে আমার সাথে এইগুলা
কেন হচ্ছে এমন ।
বিয়ে করবো না বলে বাসা থেকে চলে আসলাম আর এখন কি হলো। আম্মু তুমি কেন আমাকে নিয়ে গেলা না কান্না করছি আর মনে মনে ভাবছি
কান্না শেষ হলে গাড়ি তে চলো যাওয়া যাক মাহিন শান্তি গলায় বললো
কোথায় যাবো?? আমি আপনার সাথে কোথাও যাবো না
আপনি খুব খারাপ লোক কান্না করতে করতে বললাম
চুপচাপ যাবা নাকি আমি ফোন দিয়ে বলবো মাহিন বললো
এই না না
আপনি প্লিপ্লিজ এমন করবেন না
মনে মনে ভাবছি মানুষ এত টা নিচ হতে পারে আমি ভাবতে পারছিনা
কেন আমাকে জোর করে বিয়ে করলো
আর আমাকে কি করে চিনে এই লোলোক
হুম চুপচাপ গাড়িতে বসো
নাকি আমি কোলে তুলে নিবো
শয়তানি হাসি দিয়ে
আমি কিছু না বলে গাড়ি তে বসে পরলাম দেখি আমাকে কোথায় নিয়ে যায়।
তারপর মাহিন নিজে ড্রাইভিং সিটে বসে পরলো
মাহিন শান্ত গলায় বললো সিট বেল্ট বাধো।
নিশ্চুপ হয়ে বসে আছি কথা বলতে ইচ্ছা করছে ননা তাই শুনেও না শুনার ভান করে বসে আছি।
কি হলো কথা কানে যায় না
মাহিন জোরে ধমক দিয়ে বললো
আমি ভয় পেয়ে গেলাম তাই সিট বেল্ট বাধতে চাইছি কিন্তু পারছি না
মাহিন দেখলো আমি পারছি না তাই নিজেই আমাকে সিট বেল্ট বেধে দিলো
আমি জানালা দিয়ে আকাশের দিকে চেয়ে আছি আর সকালের কথা ভাবছি।
সকাল
সকাল ৫ টা বাজ এ উঠে নামাজ পড়ে বসে আছি এমন সময় আব্বু আমার রুমে আছেন
আব্বু বলে মিতু আসবো
আব্বুর এমন কথায় আমি চমকে উঠলাম
কারণ আব্বু আমার রুমে আসতো কখনো অনুমতি নিয়ে আসে না
আব্বু তুমি আমার রুমে আসতে অনুমতি নেওয়ার কি আছে আসো
আসলে আমি একটা কথা বলতে এসেছি কিছু টা নরম শুরে
কি কথা আব্বু বলনা
আসলে কথা টা তোকে কি করে বলি দেখ মা
তুই তো বড় হচ্ছিস তোকে তো আর আমি বড় রাখতে পারবো না মেয়ে হয়ে যখন জন্ম নিচোস বিয়ে করতে তো হবে
তাই বলছিলাম কি তোর মা (সৎ মা) কত দিন ধরে বলছে
আর ছেলে টাও অনেক ভালো
তুই তো আকাশ কে চিনোস (আকাশ আমার সৎ মার বোনের ছেলে। একদুম মায়ের আচল ধরে রাখা গাধা ছেলে মায়ের অনুমতি ছাড়া বাথরুম এ ও যায় না) ।
কিন্তু আব্বু আমি,,,,,,,
আমার বলার আগেই আব্বু আমাকে থামিয়ে দেয়
কোন কিন্তু না মা তুই ভেবে বলিস। আর তোর কাছে আমার একটা আবদার পারলে রাখিস বলেই আব্বু চলে গেছে যাওয়ার আগে বলে গেছে তোর কাউকে পছন্দ থাকলে আমাকে বলতে পারিস আমি তার সাথেই তো বিয়ে দিবো।
আমার জীবন এ আমি অনেক ক্রাশ খাইছি কিন্তু প্রেম করি নাই
আসলে এইগুলা কখনো ভেবে দেখি নাই
তবে আর যাই হক এই হাবা মায়ের চেলাটাকে বিয়ে করতে পারবো না।
আর ঐ ডাইনি রাক্ষসী মহিলার বোনের ছেলে কে তো জীবন এ ও না
এমন সময় মা ঘরে আছেন
নবাব জাদি ঘুম ভাংছে আপনার। তো আপনার আব্বু কি বলে গেছে শুনছেন তো আর কত দিন আপনাকে ঘরে বসিয়ে রাখবো এই বার তো বিয়ে করে বিদায় হ। তুই এখন গিয়ে তোর বাবা কে বলবি তুই বিয়ে তে রাজি যা বলেই চলে গেলেন।
না আর সহ্য করা যায় না এই মহিলা আমাকে যা না তা বলে চলে যায় আমি কি করবো।
আর থাকবো না এই বাড়ি তে আব্বুও এখন এই মহিলার কথা শুনে আমাকে আজ এইগুলা বলে গেলো।
আমি আর থাকবো না
আম্মু থাকলে আজ এমন হত না
আপনাদের তো বলা হয় নাই
আমি মিতু এইবার অনার্স ১ম বর্ষ পড়ি
আব্বু ব্যবসায়ী অনেক কষ্টে নিজে আজ প্রতিষ্ঠিত।
আম্মু আর আব্বু পালায় বিয়ে করে তখন আব্বুর তেমন টাকা ছিলো না তাই নানা মেনে নেন নাই
পড়ে আব্বু আম্মু থাকতেন
আর নানা নানুদের সাথে আব্বু আম্মুকে যোগাযোগ রাখতে দেন নাই তাই আমি আমার নানা নানু কাউকে চিনিনা চিনলে তাদের কাছে যেতে পারতাম।
আমি যখন ১০ শ্রেনিতে উঠি তখন হঠাৎ করে আম্মু স্টক করে মারা যায় আর আব্বু নানা কাজে দেশের বাহিরে থাকেন তাই ফুফি দের কথায় বিয়ে করেন এই মহিলা কে।
আর আমি যখন বাসা থেকে বের হয়ে পার্কে এসে ধারাই তখনই আমাকে তুলে নিয়ে আসে বাকি টা তো আপনারা জানেন।
ঐ দিকে
মাহিন চৌধুরী। চৌধুরী অফ ইন্ডাস্ট্রির মালিক ইয়াং বিজনেস ম্যান। মা বাবার এক মাত্র ছেলে। এক কথায় বলতে গেলে সকল মেয়েদের ক্রাশ। মাহিন চৌধুরী বলতে মেয়েরা পাগল।।
হঠাৎ গাড়ি থামায়
আমি ভাবনা জগত থেকে বাস্তবে ফিরে এসেছি
সামনে তাকিয়ে দেখি একটা বড় করব স্থান এর সামনে গাড়ি থামছএ
আমি ভালা করে তাকিয়ে দেখি এটা তে তো আম্মুকে করব দিছে
কিন্তু উনি আমাকে এইখানে কেন নিয়ে আসলেন
জিজ্ঞাসা করার জন্য পাশে তাকিয়ে দেখি আমার পাশে নাই
কই গেলো।
দেখি আম্মুর কবরের দিকে যাচ্ছে
মাথায় টুপি পড়া শার্ট টা ফ্লোর করা মনে হয় ওযু করে গেছে।
আমিও তারাতাড়ি নেমে গেলাম গাড়ি থেকে।
গিয়ে ওযু করলাম
আমি আন্টির কবরের কাছে এসে দাড়ালাম
আন্টি আমি জানি ওকে এইভাবে বিয়ে করা ঠিক হয় নাই
তাছাড়া আমার কিছু করার ছিলো না আমি কি করলাম বলো তোমার শেষ চিহ্ন তো ও ওকে যদি আমি আগলে না রাখতে পারি তো কি করবো তাই ওকে নিজের কাছে নিয়ে আসলাম আমাদের জন্য দোয়া কইরো বলেই কান্না করা শুরু করলাম
আমি ওযু করে এসে দেখি আম্মুর কবরের কাছে উনি কান্না করছেন কিন্তু কেন
আর কে উনি
আমি আম্মুর কবর জেয়ারত করলাম আর কান্না করতে অজ্ঞান হয়ে গেলাম
শুশুধু আজ না আমি যখনই আসি তখনই কান্না করে জ্ঞান হারাই তাই আব্বু আমাকে নিয়ে আসতে চায় না
হঠাৎ তাকিয়ে দেখি মিতু নিচে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে কোন রকম ওকে তুলে গাড়ি তে বসালাম আমি গিয়ে হুজুর দের সাথে কথা বলে মিলাত পড়াতে বললাম আর টাকা দিয়ে আসলাম গরিব বাচ্চাদের খাওয়াতে।
তার পর মাহিন গাড়ি তে বসে
মিতুর মাথা টা এক হাত দিয়ে নিজের ঘারের সাথে মিলিয়ে ধরে রাখে। আর অন্য হাত দিয়ে ড্রাইভিং করে।
গাড়ি এসে মাহিনের বাসার সামনে থামে। মাহিন মিতুকে কোলে তুলে নিয়ে আসে বাড়িতে।
কলিং বেল বাজাতেই একটা মেয়ে এসে দরজা খুলে
মাহিনের কোলে মেয়ে দেখে বলে
।।ভাই জান এটা কে ( পপি, মাহিনের বাসার কাজের মেয়ে আসলে মাহিন এইখানে একা থাকে ওর আব্বু আম্মু এখন দেশের বাহিরে আছে, আর এই মেয়ে টা কে মাহিনের দাদা পাঠাইছে ওর দেখা শুনা করার জন্য তাদের গ্রামের বাড়ি থেকে। )
এটা তোর ভাবি মাহিন বলেই রুমে চলে গেলো।
আর পপি ভাবছে ভাইজান বিয়ে করছে কিন্তু বাসার কেউ তো জানেনা দাদুকে বলবো একবার।
না থাক পরে ভাইয়া বলবে আমার চালাকি করার দরকার নাই।
মাহিন মিতু কে তার রুমে এনে শুইয়ে দিলো তারপর নিজে ফ্রেশ হয়ে নিচে আসে।
পপি কফি দে তো
জ্বী ভাইজান দারান দিতাছি বলে চলে গেলো পপি কফি আনতে
আমি দাদু কে একটা ফোন দেই
হ্যাল দাদু
কেমন আছো??
এই তো দাদুভাই আছি কোন রকম
তুই কেমন আছোস
আমি অনেক ভালো আছি
আজ আমি অনেক খুশি
কিন্তু কেন দাদু ভাই কি নিয়ে এত খুশি
দাদু দাদি কই
তোর দাদি তো বাহিরে বসে আছে কেন কথা বলবি
হুম তুমি দাদি কে বলো আমি ফোন দিছি
তুই অপেক্ষা কর আমি যাচ্ছি
বলেই মাহিনের দাদু ওর দাদি কে নিয়ে আসে
হুম বল এইবার তোর দাদি আর আমি এক সাথে আছি
দাদি কেমন আছো
ভালো আছি দাদু ভাই
শুন তোমাদের ২ জনের জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে
তোমরা ঢাকা আসবা কবে সেটা বলো
আসবো দিকে দেখি
দেখি না বলো কবে আসবা যত তারাতাড়ি আসবা তত তারাতাড়ি সারপ্রাইজ পাইবা এখন বাকি টা তোমাদের হাতে।
এমন সময় পপি কফি নিয়ে আসে
ভাইজান আপনার কফি
ওকে
দাদু দাদি এখন রাখি ভালো থাকো
ওকে আল্লাহ হাফেজ
ফোন রেখে কফি টা খেতে খেতে বললাম পপি একটা প্লেটে খাবার বেরে আমার রুমে নিয়ে আয়
বলে চলে আসলাম
এসে দেখি মিতু এখনো ঘুমাচ্ছে আর কান্না করায় এখনো মাঝে মাঝে কান্না করে উঠছে ওকে যে করেই হক ভালো করে খাবার খাওয়ায় ঔষধ খাওয়াতে হবে বাচ্চা মেয়ে টা
আন্টি আগে বলতো ওকে ঘুমের মধ্যে খাইয়ায় দিলে নাকি খেয়ে ফেলে তাই আমিও চেষ্টা করে দেখি পারি নাকি
ফ্যানের বাতাসে চুল গুলা উড়ছে ওকে অনেক কিউট লাগছে
ভাইজন পপির ডাকে ভাবনা থেকে ফিরলাম
হুম বিতরে আয় খাবার টেবিলের উপর রাখ
ওকে
ভাইজান খাবার রেখে চলে গেলো পপি আমি হাত ধুয়ে এসে ওকে বসাতে চাইলাম কিন্তু লাভ হল না আবার শুয়ে পরছে
তাই ওর মাথাটা আমার বুকে রেখে এক হাত দিয়ে ধরে অন্য হাত দিয়ে খাওয়ালাম
মুখে দিতেই খেয়ে ফেললো
কি লক্ষি বাচ্চা
এই পিচ্ছি টা কে কি করে এত দিন এত কষ্ট দিছে আর আংকেল অ কিছু বললো না।
ওকে খাওয়ায় তারপর ঔষধ খাওয়ালাম। তারপর আবার শুইয়ে দিলাম
আহ দেখো কি সুন্দর করে ঘুমাচ্ছে। হায় আমার কপালে কি আছে আল্লাহ জানে
এই মেয়ের এত ঘুম কেন
আমিও গিয়ে খেয়ে নিলাম
পপি তুই খাবার খাইছোস
না খাবো একটু পর
ওকে খেয়ে নিচ আর আমি এখন অফিসে যাচ্ছি আমার একটা মিটিং আছে তুই তোর ভাবিকে দেখে রাখিস
ওকে ভাইজান আপনি চিন্তা কইরেন না আমি দেখে রাখবো
ওকে সবার আগে আমার গল্প পড়তে চাইলে “নীল ক্যাফের ভালোবাসা” পেজে পাবেন।
খাবার শেষ করে রুমে গিয়ে অফিসের জন্য রেডি হয়ে চলে গেলাম বিকাল তিনটায় একটা মিটিং আছে এখন ২.৩০ বাজে গিয়ে মিটিং টা করতে হবে এটা অনেক ইনপটেন্ড মিটিং তাই যাচ্ছি
পপি কে বলে চলে আসলাম।
বিকাল ৪.৪০
আমার ঘুম ভাঙলো
ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি একটা অচেনা রুমে আছি কিন্তু এটা কার রুম আমি কই আছি
আমি তো আম্মুর কবরের কাছে ছিলাম এখন এইখানে আসলাম কি করে
এটা কার রুমে
রুম টার দিকে তাকিয়ে দেখি আমার কিছু পিক টানানো সোফার উপর একটা বড় ডল
চার পাশের পেন্টিং উয়াউ
এত সুন্দর করে সব কিছু গুছানো
খাট থেকে নেমে দেখি ট্রি টেবিলের উপর একটা কাগজ।
খাট থেকে নেমে কাগজ টার কাছে গেলাম গিয়ে দেখি একটা চিরকুট
খুলে দেখি লিখা আছে
লিখা আছে
আমি অফিসে যাচ্ছি
উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে গিয়ে নাস্তা করে নিবা। কিছু লাগ্লে পপিকে বলবা ভালো থাকো নিজের খেল রাখবা আর হ্যা একদুম চালাকি করের চেষ্টা করবা না।
দেখে তো রাগে আমার মাথা ফেটে যাচ্ছে আমি কোথায় ফেসে গেলাম। আল্লাহ দড়ি ফালাও আমি উপরে যাবও।
আমি আসার সময় আব্বু কে চিঠি লিখে আসছি যেনো আমাকে খুজার চেষ্টা না করে
যদি করে তো আমি নিজে কে শেষ করে দিবো। ।
কেন বাসা থেকে বের হইছিলাম আল্লাহ যানে কোন শয়তানে ধরছিলো কি জানি হুরর
কি আর করা আমি তো এই বদ লোক টার বউ তার কথা তো মানতে হবে না হলে যদি আব্বুর কোন ক্ষতি করে।
মানুষ এত টা খারাপ হয় কি করে
ঐ দিকে মা আমাকে তার বোন এর হাবলা ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চায় যেনো আব্বুর সব প্রপার্টি নিজের নামে করে নিতে পারে
আর এই দিকে এই ছেলে কেন আমাকে তুলে এনে বিয়ে করলো
আবার আম্মুর কবরের কাছে নিয়ে যায় উনি কি করে জানলো এটা আম্মুর কবর
আমাকে কি করে চিনে
উফ মাথা ব্যথা করছে কিছু মাথায় ঢুকছে না ্
দূর এইসব ভেবে লাভ নাই
আমাকে উপেক্ষা করতে হবে শেষ টা কি হয় দেখার জন্য হুম
চুপচাপ ফ্রেস হয়ে নিচে গেলাম
নিচে গিয়ে দেখি একটা মেয়ে আমার সমান হবে সোফায় বসে টিভি দেখে
আমাকে দেখে দাঁড়ায় যায়
বলে
ভাবি আপনার কি লাগবো বলেন আমি দিতাছি (পপি)
আমি চুপ করে থেকে ভাব্লাম এই মেয়ে কে উনার বোন
দেখে তো মনে হয় না
কাজের মেয়ে তাও তো মনে হয় না তাহলে কে এটা আচ্ছা জিজ্ঞেস করলেই তো হয়
হুম ঠিক
তুমি কে আমি বললাম
পপি
আমি গ্রাম থেকে এসেছি ভাই জানের খেল রাখতে দাদা পাঠাইছে
হুম ওকে
বুঝলাম এই মেয়েকে গ্রাম থেকে আনছে কাজ করতে
আচ্ছা এই বাসায় আর কেউ থাকে না?? (মিতু)
না ভাবি
ভাইজান রা কেউ দেশে থাকেনা তারা আসে আবার চলে যায়
এই তো কিছু দিন আগে ভাই জান দেশে আসছে
উনার আব্বু আম্মু??
উনারা ও আসে আবার কিছু দিন থেকে চলে যায়
উনারা আসলে আমি আসি
আর চলে গেলে আমি দাদার কাছে চলে যাই গ্রামে।
ওকে ঠিক আছে আমি যে তোমাকে এই গুলা জিজ্ঞেস করছি উনাকে বইলো না ঠিক আছে
হুম কিন্তু ভাবি আপনি কি জানেন না ভাইয়ার সম্পর্কে
আসলে মনে হলো তাই জিজ্ঞেস করলাম
তেমন কিছু না
আমাকে চা দাও তো
আসলে কথা কাটানের জন্য
ওকে ভাবি আপনি বসেন
আমি সব জানি ভাইজান আপনাকে কেন বিয়ে করছে আর এটা ও জানি আপনি ভাই জান কে চিনেন না
আপনি খুব লাকি ভাইজান আপনাকে ভালোবাসে
আমি ছোট থেকে ভাইজান কে চিনি আমার মা তাদের বাসায় কাজ করতো একদিন হঠাৎ মা মারা যায় আমি তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি আমার বাবা আমার কোন খুজ নিতো না দাদা আমাকে এখনো লেখা পড়া করায়
ভাইজান নিজের বোনের মত ভালোবাসে
এই জন্য আমি সব জানি (পপি মনে মনে কথা গুলা ভাব্লো)
ভাবি আপনার চা
ওকে
বসো
ও দূর এ বসছিলো
তাই আমি ওকে বললাম
আমার পাশে বসো
আর তোমার জন্য চা আনলেনা যে
আসলে ভাবি আমি চা খাইনা
ওকে অন্য কিছু এনে খাও
না পরে খাবো
আমার পড়া আছে
তুমি কিসে পড়ো
ক্লাস ১০ এ
অহ আচ্ছা
ওকে যাও পড়ো
আপনার কিছু লাগ্লে আমাকে বলেন এনে দিবো
না আমার কিছু লাগবে না
লাগলে তোমাকে ডাক দিবো তুমি যাও তোমার পরীক্ষা সামনে পড়ো
ওকে ভাবি
আমি ভাবতেও পারছি না মিতু আপু একদুম ভাইয়ার মত
আসলে মানুষ এত ভাল হয় কি করে
উনার ভিতরে কোন অহংকার নাই
কিছু নাই মাহিন জাইয়ার মত
মাহিন ভাইয়া ঠিক মানুষ কে ভালোবাসে ভাবতে ভাবতে চলে আসলাম আমার রুমে (পপি)
চা খেয়ে কাপ টা টেবিলের উপরে রেখে ঐ খান থেকে আপেল নিয়ে উপরে চলে আসলাম
।সবার আগে আমার গল্প পড়তে চাইলে “নীল ক্যাফের ভালোবাসা” পেজে পাবেন।
মাহিন রাতে বাড়িতে এসে দেখে মিতু ঘুমিয়ে আছে
একটা মানুষ কি করে এত ঘুমাতে পারে মাহিন জানেনা
ফ্রেস হয়ে নিচে গেলাম
পপি পপি
জ্বজ্বি ভাইয়া
কিরে কি করছ
ভাইয়া পড়তে ছিলাম কিছু লাগবে
না তুই যা পড়
না ভাইয়া আমার পড়া শেষ আপনি বলেন কি লাগবে
আর ভাবি কিন্তু খাবার খায় নাই শুধু চা খেয়ে চলে গেছে
ওকে তুই ডিনার রেডি কর আমি ওকে নিয়ে আসছি
আহা ম্যাডাম ঘুমাচ্ছে যে উঠার নাম নাই
ওর ঘুমন্ত মুখ টা খুব সুন্দর লাগছে
কিছু ক্ষন তাকিয়ে ভাবছি এত মায়া পুরা মুখে
কি সুন্দর করে ঘুমাচ্ছে একে দেখলে কেউ বলবেনা সকালে একে কেউ তুলে এনে বিয়ে করছে
এমন সময় পপি ডাকে ভাইয়া আসেন
সব রেডি
ওকে আসতে আসতে ডাক দিলাম কিন্তু কাজ হলো না আবার ঘুমিয়ে গেছে
তাই কোলে করে ওয়াশরুম এ নিয়ে গেলাম
তারপর
তারপর বেসিং এর কল ছেড়ে দিয়ে ওর মুখে পানি দিলাম
আর লাফ দিয়ে উঠলো।
_ এইইইইই আমাকে পানি দিলেন কেন? বলেই কান্না শুরু করে দিলাম। (মিতু)
_ তাহলে কি করবো হুম পড়ে পড়ে সারা দিন ঘুমাও কেন এত ঘুম কই পাও শুনি? (গম্ভীরমুখে মাহিন বললো)
_ দেখেন আপনি কিন্তু একটু বেশি করছেন, একটু বেশি না অনেক বেশি করছেন (রেগে গিয়ে)
_ তাই চুপচাপ খেতে আসো তোমার জন্য না খেয়ে আছি মাহিন বললো।
_ আপনাকে কি আমি বলছি না খেয়ে বসে থাকতে যতসব ডং মুখ বাকা করে।
_ থাপ্পড় দিয়ে দাত ফেলে দিবো চুপচাপ আসো ৫ মিনিট এর মধ্যে ফ্রেশ হয়ে নিচে আসবা।
_ আমি যাবো দেখি আপনি কি করেন হুম।
_ দিলাম ঠাস কিরে একটা থাপ্পড়। এটা দিলাম বেশি বক বক করো তাই।
আর একটা কথা যেনো না শুনি গম্ভীরমুখে। রাগে উঠে গেছে এত পেছাল পারে মেয়েটা তাই তো এখন থাপ্পড় মারলাম।
_ আয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া
আম্মু আয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া
আমাকে কেউ কোন দিন মারে নাই আজ শয়তান বদজাম টায় মারলো।
_ কি হলো আর একটা থাপ্পড় দিতে হবে না তারাতাড়ি আসবা রুমে থেকে বলছে।
_ আমি চুপচাপ চলে আসলাম কারণ থাপ্পড় মাইর কে আমি অনেক ভয় পাই আসলে ছোট বেলা থেকে আম্মু আব্বু আমাকে অনেক আদর করে মানুষ করছে।
_ ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখি দাড়িয়ে আছে।
আমাকে দেখে বললো,
_ নিচে আসো।
_ আমই চুপচাপ তার পিছনে পিছনে নিচে গেলাম।
পপি আমাদের খাবার বেরে দিলো।
_ পপি তুইও বস মাহিন বললো।
_ না ভাইয়া আপনারা খান আমি পরে খেয়ে নিবো।
_ তোকে আমি বসতে বলছি বস গম্ভীরমুখে ধমক দিয়ে।
পপি আমার দিকে তাকিয়ে আছে বুঝতে পারছি ভাবছে আমি যদি কিছু বলি তাই বসে না। তাই আমি বললাম পপি তুমি বসো আমাদের সাথে। সাথে সাথে ও আমাদের সাথে বসে খাবার খেলো।
ঝামেলায় পরলাম আমি আমি তো ইলিশ মাছের কাটা বেছে খেতে পারিনা এখন কি করবো তাই শুধু ডাল নিতে নিলে মাহিন আমার প্লেট এ মাছ তুলে দেয় লে হালুয়া আমি বললাম আমি মাছ খাবো না ভয়ে ভয়ে ।
_ থাপ্পড় এর কথা টা এত তারাতাড়ি ভুলে গেলা। বলেই দিয়ে দিলো আমি এখন কি করবো। চুপচাপ বসে আছি।।
_ কি হলো খাও।
আমি অসহায় ভাবে তাকিয়ে আছি।
– বুঝলাম বউ আমার কাটা বেছে খেতে পারেনা।
তাই আমি নিজেই কাটা বেছে দিলাম। নাও এইবার খাও।
_ তারপর খাওয়া দাওয়া করে উপরে চলে আসলাম।
ভাবছি ঘুমাব কই উনি যদি স্বামীর অধিকার ফলাতে আসে আল্লাহ ভেবেই ভয় পেলাম। কি করবো।
_ রুমে এসে দেখি ও এক মনে কি জানি ভাবছে বুঝলাম কি ভাবছে তাই আমি বললাম তুমি খাটে উঠে ঘুমাও ভয় পাওয়ার কিছু নাই আমি স্বামীর অধিকার ফলাতে আসবো না। তুমি ঘুমাও এইখানে আমি পাশের রুমে ঘুমাবো কিছু লাগ্লে আমাকে বইলো শুভ রাত্রি।
বলেই ল্যাপটপ নিয়ে চলে গেছে।
এত টা খারাপ না।
কিন্তু আমি কি করবো ওদের সাথে যোগাযোগ করবো কি করে না আছে ফোন না জানি কি করে বের হবো এইখান থেকে।
আফরিন কে তো ফোন দিতে হবে কিন্তু আফরিন কে কি করে ফোন দিবো অফ মাথা ব্যথা করছে কি করবো। সামনে এক্সাম বই গুলা তো বাসায় কেন রাগ করে বের হলাম বাসা থেকে। এই সব ভেবে আর কি হবে এখন শুধু ভাবতে হবে কি করে এইখান থেকে বের হয়া যায়। আচ্ছা উনার কাছে থেকে কি উনার ফোন টা চাইবো।
আর আমি তো আফরিন কে বলছিলাম আজ আমি বাসা থেকে চলে আসবো। ও তো টেনশন করবো। একবার গিয়ে বলি দেখি কি হয়। হুম অনেক ভেবে উনার রুমের সামনে এসে উকি দিলাম। ভিতরে আসো।
_ আমি পুরা ভ্যাবাচেকা হয়ে গেলাম জানলো কি করে উনি তো ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছে তাইলে।
_ বসো।
_ না মানে বসবো না।
_ কি বলো।
_ বা মানে আপনার ফোন টা একটু দিবেন।
_ ফোন দিয়ে কি করবা। গম্ভীরমুখে বললো।
_ গেইমস খেলবো ভয় পেয়ে।
_ ভ্রু কুচকে আমার দিকে তাকিয়ে, সত্যি টা বলো।
_ আসলে আমি বাসা থেকে চলে আসার সময় আমার ফ্রেন্ড কে বলছিলাম ওদের বাসায় যাবো কিন্তু আমি তো আর যাই নাই ও আমার জন্য চিন্তা করছে। বাসা থেকে তো ফোন নিয়ে আসিনাই।
_ ওকে নাও তবে আমার সামনে কথা বলতে হবে।
সবার আগে আমার গল্প পড়তে চাইলে “নীল ক্যাফের ভালোবাসা” পেজে পাবেন।
_ ঠিক আছে বলে ফোন নিয়ে ওকে কল দিলাম।
_ হ্যালো
_ মিতু কই তুই ঠিক আসিছ তো তুই আমি তোর জন্য কত টেনশনে আছি তুই জানোস তোর ফোন অফ কোথায় আসিছ??
_ থেমে যা মেরি মা এত প্রশ্ন একসাথে করলে উত্তর দিবো কেমনে।
প্রথম থেকে ওকে সব বললাম।
_ উনি কি তোর পাশে??
_ হুম সামনে আছে।
_ ওকে ফোনটা উনার কাছে দে।
_ ওকে
ধরেন
মাহিন এর দিকে এগিয়ে দিয়ে।
ও আপনাদের তো বলা হয় নাই আফরিন আমার বেষ্টু
আমরা ক্লাস সিক্স থেকে একসাথে আছি ।
মাহিন রুম থেকে বের হয়ে গেলো ফোন নিয়ে।
মাহিন আফরিনের সাথে কি বলছে জানিনা।
রুমে এসে বললো
_ যাও ঘুমাও গিয়ে কাল ভার্সিটি তে যেতে হবে।
_ ওকে
আমি চলে আসলাম আচ্ছা উনি কি করে জানলো আমার কাল ক্লাস আছে ।
মনে হয় আফরিন বলছে এত ভেবে লাভ নাই গিয়ে ঘুমাই।
গুড নাইট বলেই চলে আসলাম।
এসে ঘুমিয়ে গেলাম।
সকালে
উঠে নামায পড়ে আবার শুয়ে পরলাম। আসলে এটা আমার অভ্যাস। ছোট থেকেই আম্মু আমাকে নামায পড়তে উঠাতো আর নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে যেতাম। এটার জন্য ও ডাইনি রাক্ষসী মহিলার কাছে আমাকে কথা শুনতে হতো।
_ সকালে উঠে মসজিদে নামাজ পড়ে এসে দেখি মিতু আবার ঘুমাচ্ছে। তাই আর ওকে ডাক লাম না ঘুমায় নেওক না হলে আবার ক্লাসে ঘুমাইবে যা ঘুম আল্লাহ।
আমার মনে হয় যদি ঘুমের জন্য কোন প্রতিযোগিতা করে তাহলে ও ফাস্ট হবে।
আমি রুমে এসে ফাইল নিয়ে কাজ করতে বস্লাম ও খাটে ঘুমাচ্ছে। আমি আর কি কাজ করবো ওকে দেখেই আমার অবস্থা ১২ টা বেজে যাচ্ছে।
_ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ৮.২৮ বাজে ওকে উঠাতে হবে না হলে ভার্সিটি তে যেতে লেইট হয়ে যাবে।
_ মিতু উঠো এই উঠো না।
_ আব্বু আর এক্টু ঘুমাই।
_ ইচ্ছে করছে থাপ্পড় দিয়ে দাত ফেলে দেই ফাজিল মেয়ে আমাক এ কি তোমার আব্বুর মত লাগে উঠো বলছি জোরে ধমক দিয়ে বললো।
_ আমি লাফ দিয়ে উঠে গেলাম আল্লাহ গো।
সরি ঘুমের ঘোরে বলছি
_ ওকে যাও ফ্রেশ হয়ে আসো।
_ ওকে
ফ্রেশ হয়ে আসলাম।
আমি ভার্সিটি তে কি ড্রেস পরে যাবো??
আমার কোন ড্রেস তো নাই।
_ হুম বলেই আমার হাত ধরে আলমারির কাছে এনে আলমারি খুলে এইখানে ড্রেস আছে এইগুলা তোমার যেটা ভালো লাগে পরে যাবা ওকে।
_ হুম।
_ রেডি হয়ে নিচে আসো নাস্তা করে আমি তোমাকে তোমার ভার্সিটি তে পৌঁছে দিয়ে অফিস যাবো।
_ ওকে আমি একটা ড্রেস নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম। ড্রেস পালটিয়ে এসে দেখি উনিও রেডি হয়ে গেছে।
_ হঠাৎ ওয়াশরুমের দরজা খুলার শব্দে আমি ঘুরে তাকিয়ে দেখি মিতু একটা ব্লু কালারের থ্রিপিস পরে বের হইছে চুল গুলা থেকে পানি পরছে। এত সুন্দর লাগছে ওকে আমি তো চোখ ফেরাতে পারছি না।
_ কি হলো এইভাবে তাকিয়ে আসেন কেন।
_ ওর কথায় হুস ফিরলো না মানে তুমি রেডি হয়ে নিচে আসো বলেই চলে আসলাম।
_ এএটা কি হলো ।
হুর যা ইচ্ছে তাই আমি তারাতাড়ি রেডি হই।
রেডি হয়ে নিচে নাম্লাম। এসে দেখি উনি পেপার পড়ছে আর পপি টেবিল গুচাচ্ছে।
আমিও গিয়ে ওর সাথে সব নিয়ে আসলাম ও অনেক না করছে কিন্তু ওর কথা কে শুনে।
তারপর আমরা ৩ জন নাস্তা করে নিলাম। তারপর আমি আর মাহিন বের হলাম। আমার ভার্সিটি তে এসে আমাকে মানতে বললেন
_ গাড়ি থেকে নামো।
_ চলে আসছি??
_ হুম।
_ ওকে বায়।
_ বায় বলে কই যাও আমিও তোমার সাথে আসছি। _ চোখ বড় বড় করছো কেন??
_ না মানে আপনি কই যাবেন??
_ প্রিন্সিপাল এর সাথে কথা বলবো।
_ ওকে। আসেন তাহলে।
_ হুম চলো।
_ আপনার ফোনটা দিবেন একটু আফরিন আসছে নাকি দেখবো।
_ চলো ফোন দিতে হবে না।
_ হুম মন খারাপ করে আমার ফোন টা নিয়ে আসলেই ভালো হতো।
তারপর আমি আর মাহিন ভার্সিটি তে ঢুকলাম দেখি আফরিন দাঁড়িয়ে আছে ওকে দেখেই জড়িয়ে ধরলাম।
_ কেমন আছিস?? আফরিন বললো
_ ভালো আছি। তুই?
_ হুম ভালো। ভাইয়া আসছে সাথে??
_ হুম প্রিন্সিপাল এর সাথে কথা বলতে গেছে মনে হয়।
_ অহ চল।
_ কোথায়??
_ ক্লাসে।
_ হুম চল।
আমরা ক্লাসে যাবো এমন সময় দেখি উনি আমাদের দিকে আসছে। এমন সময় আফরিন বললো মিতু ঐ তো মাহিন ভাইয়া আসছে।
_ তুই উনাকে চিনলি কি করে আমি তো তোকে বলি নাই।
_ আরে না মানে কাল তুই উনার ফোন দিয়ে ফোন দিছিলি না তখন আমি উনার নাম্বার সেইভ করে রাখছি আর উনার ইমু নাম্বার ছিলো তখন উনার পিক দেখছি।
_ অহ সেটা তো বলবি। উনি আমাদের সামনে চলে আসেন।
_ আফরিন উনি মাহিন।
এটা আমার ফ্রেন্ড আফরিন।
_ হ্যালো আফরিন কেমন আছো??
_ জ্বি ভাইয়া ভালো আছি আপনি??
_ এইতো ভালো।
আচ্ছা তোমরা ক্লাসে যাও আমার একটা কাজ আছে। বলেই মাহিন চলে গেছে তবে মাহিন কে দেখা যাচ্ছে।
এমন সময় একটা ছেলে এসে মিতু কে হঠাৎ জড়িয়ে ধরছে।
মাহিন পিছনে তাকিয় এ এটা দেখছে ।
আর রাগে ফুলছে
মিতু ঘ্যাড় বাকা করে মাহিন এর দিকে তাকিয়ে আছে।।